সাইক্লোন ফ্রেডির আঘাতে বিপর্যস্ত মোজাম্বিক, নিহত বেড়ে ২৮
মোজাম্বিকে সাইক্লোন ফ্রেডির আঘাতে আরও একজন নিহত হয়েছে। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশটিতে গত চার সপ্তাহেই একবছরের সমান নজিরবিহীন বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে সাইক্লোন ফ্রেডি। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশটিতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিদুৎ ব্যবস্থা। বাতিল করা হয়েছে সব ফ্লাইট। বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ নিয়ে মোজাম্বিকে এক মাসের ভেতর দ্বিতীয়বার আঘাত হানল ফ্রেডি।
ফ্রেডির তাণ্ডবে মোজাম্বিকে এ পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতেই নিহত হয় ১০ জন। মোজাম্বিকের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সির বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে ফ্রেডির আঘাতে দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন আট হাজারেরও বেশি মানুষ। নষ্ট হয়ে গেছে খাদ্যশস্য ও ফসল।দেশটির জাম্বেজিয়া, তেতে, সোফালা এবং নাম্পুলা রাজ্যের ৫ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
‘বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও ছাদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, জানালার কাচ ভেঙে গেছে, রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সত্যিই ভয়ঙ্কর ও আতঙ্কজনক অবস্থা এটা,’ দেশটির জাম্বেজিয়া প্রদেশের এক সমাজসেবা কর্মী রয়টার্সর্কে এভাবেই পরিস্থির বর্ণণা দেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে জন্ম নেয় সাইক্লোনটি। ইতিহাসে এ পর্যন্ত সবচে দীর্ঘস্থায়ী সাইক্লোন হিসবে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ফ্রেডি ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে মোজাম্বিকে প্রথম আঘাত হানে। এর আগে এটি আঘাত হানে মাদাগাস্কারে। এর তাণ্ডবে মাদাগাস্কারে প্রাণ হারায় ১৭ জন। শুধু দীর্ঘস্থায়ীই নয়, শক্তি,গতি এবং যে পরিমাণ দূরত্ব ও এলাকা এটি অতিক্রম করেছে সবগুলোকেই রেকর্ড ও অবিশ্বাস্য বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
মোজাম্বিকের পর জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া এবং মালাবিতেও তাণ্ডব চালাতে পারে ফ্রেডি আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।