স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিল কলম্বিয়া
কলম্বিয়ার নাগরিকদের স্বেচ্ছামৃত্যু বরণের অনুমতি দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে কলম্বিয়া স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিল। বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুরুতর বা নিরাময়যোগ্য নয়—এমন রোগে আক্রান্তেরা এখন থেকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করতে পারবেন।
এএফপি জানিয়েছে, গত বুধবার কলম্বিয়ার সর্বোচ্চ আদালতে ৬-৩ ভোটে স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টি পাস হয়। এতে বলা হয়, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি যারা শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা একেবারেই সহ্য করতে পারছেন না, তাঁরা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে, অনুমতি সাপেক্ষে এবং পরামর্শক্রমে নিজের জীবনাবসান ঘটাতে পারবেন। এর জন্য আদালত তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করবেন না।
স্বেচ্ছামৃত্যু, যা বিশ্বব্যাপী ‘ইউথেনেসিয়া’ নামে পরিচিত। ইউথেনেসিয়া একটি গ্রিক শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ ‘ভালো মৃত্যু’। ১৯৯৭ সালে ইউথেনেসিয়াকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছিল কলম্বিয়া।
কিন্তু, গত বছরের জুলাই মাসে আদালত এ ধরনের মৃত্যুকে ‘মর্যাদাপূর্ণ মৃত্যুর অধিকার’ আখ্যা দিলে বিষয়টি পুনরায় আলোচনায় আসে। এ নিয়ে অনেক বিতর্কের পর গত বুধবার সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটির পর ইউথেনেসিয়া বৈধতা পায়।
কলম্বিয়ার সরকারি তথ্যমতে, অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলেও ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত কলম্বিয়ায় প্রায় ২০০ মানুষ মৃত্যুর জন্য ইউথেনেসিয়াকে বেছে নিয়েছেন।
বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশে ইউথেনেসিয়ার অনুমতি রয়েছে। লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে কলম্বিয়া সেই গুটি কয়েক দেশের অন্তর্ভুক্ত হলো। দেশটির বেশির ভাগ মানুষ রোমান ক্যাথলিক হওয়ার পরেও ইউথেনেসিয়া বৈধতা পাওয়াকে অনেকেই বিস্ময়কর হিসেবে দেখছেন। কারণ, চার্চ স্পষ্টতই স্বেচ্ছামৃত্যু ও আত্মহত্যার বিরোধিতা করে থাকে।