সৈকতে হামলাকারী অন্যদের ‘সহায়তা পেয়েছিল’
তিউনিসিয়ার সুসে শহরের পাশে সমুদ্রসৈকতে হামলাকারী সেইফেদ্দিন রেজগুইয়ের সঙ্গে আরো লোকজন জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আলী আরুই জানান, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত যে রেজগুইকে তাঁর অন্য সঙ্গীরা সহায়তা করেছিল।
সমুদ্রসৈকতে হামলায় ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ জনই ব্রিটিশ নাগরিক বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের সরকার জানিয়েছে, ১৬ ব্রিটিশ কর্মকর্তাকে তিউনিসিয়ায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে দেশটির শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কাজ করছে।
তিউনিসিয়ার তদন্তকারীরা মনে করছে, সন্দেহভাজন সঙ্গীরা রেজগুইকে কালাশনিকভ অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। মোহাম্মদ আলী আরুই জানান, রেজগুইয়ের বাবা ও তাঁর তিন রুমমেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যদিও এ ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয় বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। হামলার পর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় এবং রেজগুইয়ের ছবি প্রকাশ করে।
রেজগুইয়ের জন্মশহর গাফুর-এর প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন এ ঘটনায় শোকাহত। চাচা আলী রেজগুই বলেন, ‘কেউ কল্পনা করতে পারছে না, সে এ ধরনের কাজ করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘হতে পারে সে যেখানে পড়াশোনা করত, সেখানে তার পরিবর্তন হয়েছে, হয়তো এটা ইন্টারনেটে আছে। তবে আমাদের কাছে কোনো উত্তর নেই।’
তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় সেনা মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে ৮০টি মসজিদ এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিউনিসিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে শুক্রবারের হামলা সবচেয়ে ভয়াবহ। গত মার্চে রাজধানী তিউনিসে জঙ্গিরা ২২ জনকে হত্যা করে, যাদের বেশির ভাগই ছিল বিদেশি নাগরিক।
নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হোটেল ইম্পেরিয়াল মারহাবায় ঢোকার আগে রেজগুই নিজেকে সাঁতারু পরিচয় দেন। এ সময় তিনি সঙ্গে থাকা ছাতার নিচে রাইফেল বহন করছিলেন। এর পর পরই তিনি গুলি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে রেজগুই মারা যান।