মক্কায় মসজিদের ক্রেন ভেঙে নিহত ১০৭
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদ আল-হারামে ক্রেন ভেঙে পড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। একই ঘটনায় বাংলাদেশিসহ আহত হয়েছে ২৩০ জনের বেশি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
urgentPhoto
লাল রঙের বিশাল আকৃতির ক্রেনটি মসজিদের একটি অংশের ওপর আছড়ে পড়ে। বেসামরিক প্রতিরক্ষার কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্রেনটি পড়ে যায়।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট সুলায়মান বিন-আবদুলল্লাহ আল-আমর জানান, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় ১৪:২৩) দুর্ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার হওয়ায় এদিন অনেক মুসল্লি মসজিদের ভেতরে অবস্থা করছিলেন।
লেফটেন্যান্ট আমর বলেন, ক্রেনটি ভেঙে পড়ার আগে মক্কায় ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়, যা সচরাচর ঘটে না। তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা জানতে একটি তদন্ত চলছে।
জানা গেছে, ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির পর ক্রেনটি ভেঙে পড়ে। গত সপ্তাহে শক্তিশালী ধুলো ঝড় আরব উপদ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
ইউটিউবে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যাপক শব্দে ক্রেনটি ভেঙে পড়ে, এরপর চিৎকার-আহাজারি শোনা যায়। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, মসজিদের মেঝেতে বহু দেহ এবং রক্ত পড়ে আছে।
প্রতি বছর বিশ্বের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করতে মক্কায় যান। মসজিদ আল-হারামে ফি বছরই হাজির সংখ্যা বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এই চাপ সামাল দেওয়ার অংশ হিসেবে মসজিদটির সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ভেঙে পড়া ক্রেনটি সেই নির্মাণকাজেরই অংশ।
মসজিদ আল-হারাম পরিচিত গ্র্যান্ড মস্ক নামেও। ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র জায়গা এটি। মসজিদের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে কাবা শরিফ।
ইসলাম ধর্মে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ ফরজ করা হয়েছে। হজ করতে গেলে হাজিদের তাওয়াফ করতে হয়—কাবা শরিফের চারপাশে সাতবার ঘোরেন তারা।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে ভিড়জনিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কাজ করছে সৌদি সরকার। ২০০৬ সালে পদদলিত হয়ে ৩৫০ জন, একই বছর ভবন ধসে ৭৬ জন এবং ২০০৪ সালে আরেক পদদলনের ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়।