ডিএনএ মেরামতের ব্যাখ্যা দিয়ে রসায়নে নোবেল
জীবকোষের ডিএনএ (বংশগতির ধারক) মেরামতের পদ্ধতি ব্যাখ্যা দিয়ে রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন গবেষক। এঁরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের পল মডরিচ, আজিজ স্যানকার ও যুক্তরাজ্যের থমাস লিনঢাল। আজ বুধবার সুইডেনের স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের নোবেলপ্রাপ্তির কথা ঘোষণা করে সুইডেনের রয়্যাল সুইডিস একাডেমি অব সায়েন্সেস।
নোবেল পুরস্কারের অর্থ ৮০ লাখ সুইডিস ক্রোনার (নয় লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার) তিন গবেষকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে তিন গবেষকই পাবেন নোবেল স্মারক ও সার্টিফিকেট।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের গবেষক থমাস লিনঢাল কোষের ভেতরে ডিএনএ কীভাবে মেরামত হয় এর ব্যাখ্যা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের হাওয়ার্ড হিউস মেডিকেল ইনস্টিটিউট ও নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের গবেষক পল মডরিচ ব্যাখ্যা দেন, কোষ বিভাজনের সময় ডিএনএর সময়ে সৃষ্ট ভুল কোষের মধ্যেই কীভাবে ঠিক হয়। আর তুরস্কে জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার গবেষক আজিজ স্যানকার ব্যাখ্যা দেন, অতিবেগুনি রশ্মির ফলে ডিএনএর যে ক্ষতি হয় তা কীভাবে কোষ ঠিক করে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এই তিন গবেষক কোষের ডিএনএ মেরামতের পদ্ধতির পাশাপাশি এর জিনগত তথ্য নিরাপদ রাখার বিষয়টিরও ব্যাখ্যা দেন।
আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিস একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, জীবকোষের মধ্যকার কার্যক্রম সম্পর্কে বোঝার গবেষণায় বড় অবদান রেখেছেন তিন বিজ্ঞানী। একই সঙ্গে তাঁদের গবেষণা থেকে কিছু বংশানুক্রমিক রোগ এবং ক্যানসার সৃষ্টি ও বয়স বৃদ্ধি সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়।
নোবেলপ্রাপ্তির খবর জানার পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের গবেষক থমাস লিনঢাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘শত শত মানুষ এই পুরস্কারের যোগ্য। পুরস্কার পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’