পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রাশিয়া!
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুতি জোরদার করেছে রাশিয়া। এ জন্য ‘কেয়ামতের বিমান’ দ্রুত অভিযান-উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে দেশটি।
ইলিউশিন টু-৮০ মডেলের বিমানগুলোকেই বলা হয় ‘কেয়ামতের বিমান’। কারণ পরমাণু যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে স্থলে থাকা নিয়ন্ত্রণ কক্ষও যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তবে এই বিমান উড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হিসেবে কাজ করবে। আর এই বিমানগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যে এদের পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব।
গোটা বিশ্বে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছেই রয়েছে এ ধরনের বিমান। যুক্তরাষ্ট্র এগুলোকে ‘কেয়ামতের বিমান’ বলে।
ব্রিটেনের গণমাধ্যম ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এ ধরনের ইলিউশিন টু-৮০ মডেলের বিমানগুলোকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহারোপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরই মধ্যে বিমানগুলোর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও সম্পন্ন হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই যুদ্ধবিমানগুলো ২০১৫ সালের শেষের দিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে। কিন্তু পুতিন দুই সপ্তাহের মধ্যে এগুলোকে প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইলিউশিন টু-৮০ বিমান গবেষণা ও প্রস্তুত প্রকল্পের মহাপরিচালক আলেকসান্দ্র কমিয়াকভ বলেন, এই বিমানের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি অজেয়, একে পরাজিত করা যায় না। ভূমিতে কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে যুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হলে তা শনাক্ত এবং ধ্বংস করা সম্ভব। এই বিমানে বসে আকাশ থেকে নির্দেশ দিলে তা শনাক্ত করা খুবই কঠিন।
নিজেদের মূলকাজ সম্পর্কে কমিয়াকভ বলেন, অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও যোগাযোগটা বজায় রাখাই হচ্ছে প্রধান কাজ। মাটিতে থাকা অবকাঠামো যদি ধ্বংসও হয়ে যায়, তবু যেন যুদ্ধ ও পরিকল্পনা ঠিক থাকে, সেটা এখান থেকে লক্ষ রাখা হবে।
এরই মধ্যে সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিয়ন্ত্রিত লক্ষ্যবস্তুতে এক হাজারেরও বেশি বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, তুরস্কের সঙ্গে আইএসের গোপন তেল বাণিজ্য থাকায় রাশিয়ার একটি বিমান ভূপাতিত করেছে তুরস্ক।
উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহের মধ্যে ‘কেয়ামতের বিমান’ প্রস্তুতের নির্দেশ যুদ্ধকে আরো এগিয়ে আনছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।