‘লিবিয়া উপকূলে বাংলাদেশিসহ ৬০০ শরণার্থী উদ্ধার’
লিবিয়ার সমুদ্র উপকূলে চারটি নৌযান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকসহ প্রায় ৬০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি নৌযান ডুবে গেছে।
লিবিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র আইয়ুব কাসেম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, সমুদ্র থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক শরণার্থী নিখোঁজ রয়েছে।
ইতালির কোস্টগার্ড দেশটির সিসিলি প্রণালি থেকে নয় শতাধিক শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০১৫ সালের শুরু থেকে সবচেয়ে বড় অভিবাসন সংকট দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১২ লাখ মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে। এদের বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের।
এদিকে, লিবিয়ার মানব পাচার ইস্যুতে বেশ সমালোচনা চলছে। মানব পাচারকারী চক্র ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে মানুষ পাচার করছে অভিযোগ রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ইউরোপের শরণার্থী সংকটের মূল উৎস হতে পারে লিবিয়া।
আইয়ুব কাসেম জানান, শনিবার লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল উদ্ধার হওয়া শরণার্থীদের মধ্যে সাব-সাহারার দেশগুলো ও বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছে।
সম্প্রতি সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সামরিক হামলা শুরু করলে দেশটির নাগরিক ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। লাখো মানুষ সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন। অনেকে ইউরোপের পথে আছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে।