চিকিৎসা নিয়েই চিন্তায় সালাহ উদ্দিন
ভারতের শিলং সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ তাঁর চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি। আজ শনিবার বিকেলে মেঘালয় রাজ্যের শিলং থেকে টেলিফোনে এনটিভিকে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
urgentPhoto
আবদুল লতিফ জনি বলেন, ‘গত রাতে উনি ঘুমাতে পারেন নাই ওনার কোমরে ব্যথার জন্য। হয়তো কিডনি থেকেই এই কোমরে ব্যথা হচ্ছে বলে উনি অনুভব করছেন। ওনার মারাত্মক হার্ট ডিজিজ আছে এবং ওনার একটিই চিন্তা কীভাবে ওনার চিকিৎসাটা হবে। চিকিৎসাটাকেই উনি প্রথম প্রায়োরিটি দিচ্ছেন। হার্টের এবং কিডনির সেই রোগের জন্য ওনার যে এক্সপেক্টেশন, সেই এক্সপেক্টেশন হিসেবে এখানে উনি চিকিৎসা হয়তো পাচ্ছেন না। সেই জন্য ওনার স্ত্রী আসার পরেই কী করা যায়, সেটা এখানকার কর্তৃপক্ষের সাথে, ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করবেন।’
ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করার অভিযোগে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে যে মামলা হয়েছে, সে ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে প্রসঙ্গে জনি বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী এখানে আসার পর।’
সালাহ উদ্দিন কীভাবে শিলং পৌঁছালেন সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি বলে দাবি করেন জনি। তিনি বলেন, ‘উনি অন্য কোনো কিছুই আমাকে বলেননি। উনি বলতে পারেন না কীভাবে উনি এসেছেন।’
৬৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে সন্ধান পাওয়া যায় বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের। সেখানে রাস্তায় ‘ইতস্তত ঘোরাঘুরির সময় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে’ শিলং পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে বলে জানায় শিলংয়ের গণমাধ্যমগুলো। তবে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া আত্মীয়দের কাছে সালাহ উদ্দিন দাবি করেছেন, কয়েকবার গাড়ি পরিবর্তন শেষে তাঁকে শিলংয়ে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। সেখানে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর নিয়ে তিনি নিজেই পুলিশের কাছে যান। বর্তমানে শিলং সিভিল হাসপাতালে কারাবন্দীদের জন্য নির্ধারিত সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সালাহ উদ্দিনকে।