যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতে ১২ মিনিট লাগবে রাশিয়ার
নতুন এক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া, যা পারমাণবিক বোমা নিয়ে মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। অবজেক্ট ৪২০২ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে চলে, তাই এটি সামরিক জোট ন্যাটোর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে যেতে পারবে।
সম্প্রতি রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের ক্যামচাটকা উপদ্বীপে ইয়াসনি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এটি কয়েক হাজার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে। আর উৎক্ষেপণের পর একপর্যায়ে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিবেগ হয়েছিল ঘণ্টায় চার হাজার মাইল। রাশিয়ার সুপারসনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রের পথ রোধ করা বাস্তবিকভাবে অসম্ভব। ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একে থামাতে পারবে না।
সংবাদমাধ্যম স্যালনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যেই অবজেক্ট ৪২০২ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাজ্যের উপকূলে পৌঁছে যেতে পারবে। আর যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডারে এটি ধরা পড়বে না।
অবজেক্ট ৪২০২ ক্ষেপণাস্ত্র স্যাটান-২ নামক পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারবে। স্যাটান-২ আনুষ্ঠানিকভাবে আরএস-২৮ সারম্যাট সুপার নিউক নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার নতুন এই অস্ত্রে ১৬টি পারমাণবিক বোমা থাকে। একটি স্যাটান ২-এর বিস্ফোরণে ফ্রান্স বা টেক্সাসের সমান এলাকা মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
রাশিয়ার ট্যাকটিক্যাল মিসাইলস করপোরেশনের দাবি, তাদের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হিরোশিমা এবং নাগাসাগির আণবিক বোমা ‘পপগানে’র মতো।
সংবাদমাধ্যম স্যালনের মতে, রাশিয়ার সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে স্বাভাবিকভাবেই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ থাকবে।
চলতি মাসে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রচারণায় ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও প্রশংসা করেছেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ন্যাটো দুর্বল হয়ে পড়বে। আর এই দুর্বলতার সুযোগে ইউক্রেন ও ক্রিমিয়ার ওপর পুতিনের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব হয়তো অব্যাহত থাকবে।
অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সক্ষমতা অর্জনের মধ্যে দিয়ে, সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র এবং এর ইউরোপীয় মিত্রদের ওপর হুমকিই দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।