সাগরে ভাসমানদের পরিচয় জানবে জাতিসংঘ
মালয়েশিয়ায় সদ্য পৌঁছানো সাগরে ভাসমান যাত্রীদের পরিচয় জানতে কাজ করবে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এসব মানুষ কোন দেশের বাসিন্দা, তা জানতেই মূলত এ কাজে হাত দেবে ওই সংস্থা।
মালয়েশিয়ান বার্তা সংস্থা বারনামার বরাত দিয়ে শুক্রবার খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকারবিষয়ক এক আলোচনায় শুক্রবার এ কথা জানান জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিনিধি রিচার্ড টাওয়েল।
রিচার্ড টাওয়েল জানিয়েছেন, এসব মানুষের পরিচয় এবং কোন দেশ ও জাতির আওতাভুক্ত, তা জানতে সাক্ষাৎকার নেওয়াটা সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘এ পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা জানতে পারব, তারা আসলে কে?’রোহিঙ্গাদের কিছু অংশ নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, এর মাধ্যমে এসব মানুষের জন্য কী করণীয়, তা ঠিক করতে পারবে জাতিসংঘ।
গত ১০ মে এক হাজার ১৫৮ জন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী মালয়েশিয়ার তীরে প্রবেশ করে। অন্যরা সুমাত্রার উত্তরাঞ্চলে যায়।
গত ২০ মে সাগরে ভাসমান সাত হাজার অবৈধ অভিবাসীকে অস্থায়ী সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক রোহিঙ্গাসহ অভিবাসীদের বহনকারী নৌযান সমুদ্র থেকে উদ্ধার ও অনুসন্ধানের জন্য তাঁর দেশের নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। এর মাধ্যমে অভিবাসীদের উদ্ধারের বিষয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট হয়।
সাগরপথে এরই মধ্যে তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসী মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। থাইল্যান্ডেও আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। তবে তিনটি দেশই অভিবাসীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এর তীব্র নিন্দা জানায়। পরে এ বিষয়ে দেশগুলো নিজেদের অবস্থান পাল্টায়।