পাকিস্তানে বিমান বিধ্বস্ত, ৪৬ মরদেহ উদ্ধার
পাকিস্তানে অ্যাবোটাবাদে বিধ্বস্ত বিমান থেকে ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রদেশের চিত্রাল থেকে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় রওনা দেয় পিকে-৬৬১। ৪টা ৪০ মিনিটে ইসলামাবাদে বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা বিমানটির।
পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে জিও টিভি জানিয়েছে, বিমানটির ধ্বংসাবশেষ থেকে ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। যাত্রী ও ক্রুসহ ৪৮ জনকে নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
চিত্রাল বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীতালিকায় দেখা যায়, বিমানে ৩১ জন পুরুষ, নয় নারী ও দুটি শিশু ছিল।
বিমানে স্ত্রীসহ ছিলেন জুনায়েদ জামশেদ
যাত্রীতালিকা দেখে পিআইএ নিশ্চিত করেছে, বিমানে ছিলেন সুরকার, গীতিকার ও ধর্মীয় বক্তা জুনায়েদ জামশেদ। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও ছিলেন। দেশটির জনপ্রিয় ওই সংগীতজ্ঞ পরে ধর্মীয় বিষয়ে বক্তৃতা করতেন। তিনি দেশটির জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্বও। বিমানে জামশেদ বসেছিলেন ২৭-সি চেয়ারে। জামশেদের ভাইও জানিয়েছেন, জামশেদ ইসলামাবাদগামী ওই বিমানে ছিলেন।
‘বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম’
দুর্ঘটনাস্থলের এক সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিমানে থাকা যাত্রী ও অন্যদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাজ মুহাম্মদ খান নামের ওই কর্মকর্তা জানান, মরদেহগুলো দেখে চেনার কোনো উপায় নেই। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে তাজ জানান, পার্বত্য এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আর পাহাড়ে পড়ার আগেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
জুম্মা খান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ধ্বংসাবশেষ থেকে কেবল মানুষের হাত-পা বের করা হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে না কোনটা নারী, কোনটা পুরুষ।
মরদেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আইয়ুব মেডিকেল কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।