কানাডায় ভয়াবহ দাবানল, প্রচণ্ড ধোঁয়ার কবলে যুক্তরাষ্ট্র
ভয়ংকর দাবানলের কবলে কানাডা। দাবানল এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর ধোঁয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নাজেহাল অবস্থা। দেশটিতে বহু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
প্রচণ্ড দাবানলের কবলে কানাডার পূর্বাঞ্চলে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষের দিকে ১৫০টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
দাবানলের ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গেছে। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের আকাশও ধোঁয়ায় ভরে গেছে। সেই ধোঁয়া যুক্তরাষ্ট্রের বড় একটি অংশের উপরে চলে গেছে। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বায়ুদূষণ অত্যন্ত বেড়ে গেছে। বয়স্ক এবং যাদের গুরুতর অসুখ আছে, তাদের সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। গর্ভবতী নারীদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন ধরেই কানাডা থেকে দাবানলের ধোঁয়া যুক্তরাষ্ট্রে আসছিল। তবে এখন কুইবেকে দাবানল থেকে যে ধোঁয়া ছড়াচ্ছে, তা খুবই ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভানিয়াসহ বিশাল এলাকায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকার স্কুলগুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার ৬০০ ফ্লাইট এই ধোঁয়ার জন্য দেরিতে ছেড়েছে বা বাতিল হয়েছে।
নরওয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের দেশেও এই ধোঁয়া আসতে পারে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, দাবানল সাধারণত কানাডার পশ্চিম দিকে হয়। এবার হয়েছে পূর্বদিকে। দেশটির নোভা স্কটিয়া, কুইবেক, অন্টারিওতে দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এত বিপুল ধোঁয়া যাচ্ছে।
চলতি বছরে কানাডায় ৩৩ লাখ হেক্টর জমিতে গাছপালা দাবানলের ফলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন শুধু কুইবেকেই ১৬০টি দাবানল জ্বলছে। ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আগেই দাবানল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কানাডার পাশে দাঁড়িয়েছে। এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) দেশটির পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ফ্রান্স, পর্তুগালস, স্পেন দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সামিল হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, ‘কানাডা আমাদের সাহায্য চেয়েছিল। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি।’