আড়াইশ বছর আগের লুণ্ঠিত সম্পদ ফিরে পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
১৬০০ শতকে শ্রীলঙ্কায় ঔপনিবেশিক গড়েছিল নেদারল্যান্ড। শত বছরের বেশি সময় ধরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে রাজত্ব করেছিল ডাচরা। ওই সময় লুটে নিয়েছিল প্রচুর ধন-সম্পদ। অবশেষে, লুণ্ঠিত সেই সব সম্পদ ফিরিয়ে দিতে চলেছে ডাচরা। ফিরিয়ে দেওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে, সোনা, রৌপ্য, ব্রোঞ্জ, শিল্পকর্ম এবং রুবি দিয়ে মোড়ানো ২৭৫ বছরেরও বেশি পুরনো কামান। আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, কলম্বোর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই সব সম্পদের আনুষ্ঠানিক মালিকানা শ্রীলঙ্কার কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরপত্রে স্বাক্ষর করেন নেদারল্যান্ডের সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী গুনআই উসলু। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকানা পরিবর্তন হলেও এখনও লুণ্ঠিত সম্পদ শ্রীলঙ্কার ভূখণ্ডে পৌঁছায়নি। আগামী ডিসেম্বরে সেগুলো দেশটিতে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর আগে, লুণ্ঠিত শিল্পকর্মগুলো আমস্টারডামের রিজস্কস জাদুঘরে রাখা হবে। যার জন্য অনুমতি দিয়েছে শ্রীলঙ্কার জাতীয় জাদুকর কর্তৃপক্ষ।
ঔপনিবেশিক সময়ে লুট করা সম্পদ বা শিল্পকর্মগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য ২০২১ সালে একটি নীতির ঘোষণা করে ডাচ কর্তৃপক্ষ। সেই নীতি অনুসারেই লুণ্ঠিত সম্পদ ফেরত দিচ্ছে তারা।
ধারণা করা হয়, রুবি দিয়ে জড়ানো কামানটি ১৭৪৫-৪৬ সালে ক্যান্ডির রাজাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। তবে, ১৭৫৬ সালে সেই কামানটি ছিনিয়ে নেয় ডাচ সেনারা। নেদারল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় মূল্যবান জিনিসটি প্রদর্শিত করা হয়। বর্তমানে এটি আমস্টারডামের রিজস্কস জাদুঘরে রয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, ফিরিয়ে দেওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে সোনা ও রূপার তৈরি দুটি তলোয়ার, দুটি বন্দুক এবং একটি ছুরি। ১৬৫৮ থেকে ১৭৯৬ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় রাজ করা ডাচরা কোনো এক সময়ে এসব জিনিস লুটে নিয়েছিল।