জাতিসংঘে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির আহ্বান রাশিয়ার
গাজা উপত্যকা ও ইসরাইলে চলমান সংঘাতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করার পাশাপাশি ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জাতিসংঘে এ আহ্বান জানান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপিত রাশিয়ার খসড়া প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি শুরু এবং সব জিম্মিদের নিরাপদ মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা, শত্রুতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় দেশটি।
রাশিয়ার ওই নথিতে শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হামলা চালানো হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এই হামলায় দেশটির এক হাজার ৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় প্রায় ১৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয়।
নিরাপত্তা পরিষদকে ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থিদের এবং ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার জন্য নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল এই হামলা চালিয়ে কমপক্ষে এক হাজার ৯০০ লোককে হত্যা করেছে। এদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে ছয় শতাধিক শিশু রয়েছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত, নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রক্তপাত বন্ধ করতে এবং শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে হবে।’
নেবেনজিয়া বলেন, ‘কিছু সদস্য রাষ্ট্র খসড়া প্রস্তাবের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।’
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও দোষারোপ করেন রুশ রাষ্ট্রদূত। এছাড়া গাজা উপত্যকায় বেসামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার বিষয়ে দৃষ্টি না দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়নেরও সমালোচনা করেন তিনি।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদ বরাবরই বিভক্ত। সভার শেষে সদস্যরা প্রস্তাবের বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানান। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলের বৈঠকে যাওয়ার মাত্র দুই মিনিট আগে খসড়া প্রস্তাবটি হাজির করা হয়েছিল। আমি মনে করি, এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছুর বিষয়ে আমাদের পরামর্শের জন্য সময় দরকার।’
চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, ‘মানবিক উদ্বেগের বিষয়ে একটি ঐকমত্য হচ্ছে। উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে, এ ধরনের উদ্যোগের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’