মালদ্বীপ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ভারতের সম্মতি
দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত দ্বীপপুঞ্জ মালদ্বীপ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে সম্মত হয়েছে ভারত। এর ফলে দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু নির্বাচনের আগে দেশবাসীর কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ হতে যাচ্ছে। খবর এএফপির।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে গতকাল রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারত সরকারের সঙ্গে বেশ কিছু গঠনমূলক বৈঠক ও সংলাপের পর একটি চুক্তিতে পৌঁছানো গেছে। চুক্তি অনুসারে ভারত মালদ্বীপ থেকে তার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেবে।’
উল্লেখ্য ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা দ্বীপ দেশটিতে উপহার হিসেবে দেওয়া তিনটি বিমানের মাধ্যমে সমুদ্রসীমায় টহল কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
মালদ্বীপ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম খরুচে ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশটির সাদা বালির সমুদ্র সৈকত ও নির্জন রিসোর্টগুলো পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া অবস্থানের কারণে মালদ্বীপ ভূরাজনৈতিক ‘হটস্পট’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রায় ৮০০ কিলোমিটারের ব্যাপ্তি নিয়ে এক হাজার ১৯২টি ছোট ছোট কোরাল দ্বীপের সমষ্টি এই দ্বীপমালাটি পূর্ব-পশ্চিমের বৈশ্বিক শিপিং লাইনের অন্তর্ভুক্ত এলাকা।
এদিকে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, দ্বীপপুঞ্জটি থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি ‘টেকনিক্যাল’ পর্যায়ে রয়েছে এবং তা সফলতার দিকেই যাচ্ছে। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে আর বলা হয়, সরকার দেশের মাটি থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দপ্তর সেনা প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি। অন্যদিকে ভারতের পক্ষেও এ বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের পরপর এই সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
বিবৃতিতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায়, বৈঠকে দুই দেশের নেতারাই মালদ্বীপে চলতে থাকা উন্নয়ন প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের পক্ষে তাদের সম্মতির কথা তুলে ধরেন।