হামাস-ইসরায়েল সংঘাত : বেথলেহেমে উৎসবহীন বড়দিন
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর)। আজকের এই দিনে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু যিশুখ্রিষ্টের জন্মস্থান বেথলেহেমের ঐতিহাসিক চার্চে মধ্যরাত্রের প্রার্থনা হয়েছে সাদামাটা। চার্চের বাইরে ছিল না কোনো ক্রিসমাস ট্রি, ছিল না আলোকসজ্জা।
আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বেথলেহেমে বড়দিনের কোনো সাজসজ্জা থাকবে না। সেভাবে উৎসব হবে না বেথলেহেমে।
গতকাল রোববার (২৪ ডিসেম্বর) অধিকৃত পশ্চিম তীরে ক্রিসমাস শোভাযাত্রা হলো, তবে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে। কার্ডিনাল পিজাবেলার সঙ্গে ছিলেন অল্প কিছু খ্রিষ্ট সন্ন্যাসী ও ভক্ত। পিজাবেলা হলেন ইসরায়েল, জর্ডান, সাইপ্রাস ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি।
উৎসবহীন বড়দিন
গত নভেম্বরে জেরুজালেমের চার্চের প্রধানরা ঠিক করেছিলেন, বেথলেহেমের পবিত্র ভূমিতে বড়দিনে কোনো উৎসব করা হবে না। কোনো সাজসজ্জাও থাকবে না। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নেন।
বার্তাসংস্থা এপি-কে এক খ্রিস্ট সন্ন্যাসী জানিয়েছেন, এই বছর ক্রিসমাস ট্রি ছিল না, কোনো আলো ছিল না। সাধারণত, বড়দিনের সময় বেথলেহেমে হাজার হাজার পর্যটক থাকেন। এ বছর কোনো পর্যটকই প্রায় নেই। পশ্চিম তীরের এই শহরের অর্থনীতির ৭০ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে। আর বড়দিনের সময় সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন। কিন্তু এবারের চিত্রটা আলাদা। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭০টা হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন।