ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া তিন লাখের বেশি মানুষ বন্যায় ঘরছাড়া হয়েছে। বন্যায় ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী আসাম রাজ্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী এ রাজ্যে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) ব্রহ্মপুত্রের একটি ছোট দ্বীপে চারদিন ধরে আটকে থাকার পর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশে প্রবেশের আগে আসামের ওপর দিয়ে এক হাজার ২৮০ কিলোমিটার ধরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নদের পানি উপচে দুপাড়ে ব্যাপক প্লাবনের সৃষ্টি হয়। তবে এ বছরের আগাম বৃষ্টিপাতের কারণে নদের দুপাড় এবং এর মাঝে থাকা দুই হাজারের বেশি দ্বীপের বাসিন্দারা আগেভাগেই বিপাকে পড়েছেন।
আসামের বিখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের প্রাণীরাও বন্যার হাত থেকে রেহাই পেতে উঁচু জমিতে গিয়ে উঠছে। পার্কটিতে প্রায় আড়াই হাজার এক শিংওয়ালা গন্ডার রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, পার্ক রেঞ্জাররা প্রাণীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বক্ষণ তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে, আসামের পাশের রাজ্য চীনের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের চাংলাং জেলার একটি স্কুল থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া সিকিম, মণিপুর ও মেঘালয় রাজ্যে প্রবল বন্যায় রাস্তা ভেসে গেছে, ভেঙে পড়েছে সেতু।
ভারতের সরকারি হিসাব অনুসারে, বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মে মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত দেশটির উত্তর-পূর্বের ছয়টি রাজ্যে ৮০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।