ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর নজিরবিহীন রকেট হামলা
ইসরায়েলের তেল আবিব শহরের উপকণ্ঠে হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ। স্কোয়াড্রন দিয়ে ইহুদিদের পবিত্রতম দিন ইয়োম কিপপুরে শুক্রবার তারা এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। শুরু আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১১৫টি রকেট হামলা চালিছে তারা। খবর প্রেস টিভি, নূর নিউজ, আল-জাজিরা, সিএনএনের।
শনিবার হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা পর্যন্ত হিজবুল্লাহ আজ ইসরায়েলে প্রায় ১১৫টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। এর আগে, হিজবুল্লাহ ঘোষণা করেছিল যে তারা উত্তর ইসরায়েলের কিরিয়াত শমোনা বসতিতে রকেট হামলা চালিয়েছে এবং জুরিট বসতিতে একটি সেনা ঘাঁটিতে আঘাত করেছে।
এই অঞ্চলের লড়াইয়ে ইরানের সব মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠী, যেমন—হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি এবং ইরাকি মিলিশিয়ারা আছে। তারা পূর্ণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইরানের গণমাধ্যম প্রেস টিভি বলছে, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর ইসরায়েলও পাল্টা হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক হামলা চালালে ইরানও প্রত্যাঘাত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি বেশি ফিলিস্তিনি এবং দুই হাজারের বেশি লেবাননের লোক জীবন দিয়েছে।
হামলার মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর-মধ্য সীমান্তের জারিত, শৌমেরা, শ্তুলা, নেতুয়া, এমনকি মেনাচেমের বসতিগুলোকে ‘বন্ধ সামরিক অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যেই মেটুল্লা শহরের পাশাপাশি ভূখণ্ডের উত্তর দিকের মিসগাভ আম এবং কাফার গিলাদি বসতিগুলোতে ঢুকেছে।