গ্রহণযোগ্য ইসির তত্ত্বাবধানে নির্বাচন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল
দেশে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়ে ঘোর দুর্দিন নামিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে বলেন, অবৈধ শাসন ফ্যাসিবাদী কায়দায় দীর্ঘায়িত করতে গিয়ে সরকার দেশ, রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে চরম দুর্দশায় ফেলেছে। গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরাসরি শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে। জনগণের মতামতই হয় সরকার পরিচালনার ভিত্তি। কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় শান্তি, স্থিতিশীলতা, টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আসুন, আমরা গুম-খুন-ক্রসফায়ার আর মিথ্যা মামলার হিড়িকের এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে গণতন্ত্র মুক্তির মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।
জাতিসংঘ কর্তৃক ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের সারবত্তা ও অনুশীলনে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা, আহতদের জানাচ্ছি সমবেদনা।
তিনি বলেন, একটি গতিশীল গণতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তি মানুষের মর্যাদা সমুন্নত থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মানুষকে দাসে পরিণত করা যায় না। একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজেই কেবল মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়। সভ্যতা বর্তমান স্তর থেকে আরও অগ্রগতির দিকে ধাবিত হয়। সারা বিশ্বে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহকে ভুলুণ্ঠিত করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এখনও একদলীয় দুঃশাসনের ঘন অন্ধকার বিরাজমান। বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের পথকে সংকুচিত করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নাগরিক অধিকার, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য হরণ করা হয়েছে। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। ভিন্নমতের কারণে অনেকেই গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গৃহবন্দী রাখা হয়েছে।