চলন্ত ট্রেনে সেলফি : নদীতে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
চলন্ত ট্রেনে সেলফি তুলতে গিয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের হলহলিয়া রেল সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন রেলযাত্রী কিশোর মেহেদী হাসান (১৫)। তার মরদেহ সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পর নদী থেকে উদ্ধার করেছে রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।
নিহত কিশোর মেহেদী হাসান পঞ্চগড় জেলা সদরের রাজমহল এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টার দিকে আক্কেলপুর উপজেলার হলহলিয়া রেলসেতু অতিক্রমের সময় ট্রেনের ভেতর থেকে মাথা বের করে সেলফি তোলার সময় সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় তার হাতের কবজি ছিড়ে গিয়ে রেলিংয়ের সঙ্গে দেহ কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর দেহটি তুলশীগঙ্গা নদীতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়েও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
এরপর আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল এসে ওই নদী থেকে রেলযাত্রী মেহেদী হাসানের লাশ মরদেহ উদ্ধার করে।
সান্তাহার রেলওয়ের থানার উপপরির্দশক (এসআই) দোলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।