ডুবে থাকা সিলেটে ত্রাণের আকুতি
সিলেটের সব কয়টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে আছে। বাড়িঘরে উঠেছে পানি। প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও গেছে তলিয়ে। তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন দিন পার করেছেন লক্ষাধিক গ্রাহক। এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সুরমার পানি সামান্য কমলেও অন্যান্য নদীর পানি একই রকম আছে। দেখা দিয়েছে নদীভাঙনসহ ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা। দুর্ভোগের মধ্যে সময় পার করা পানিবন্দিরা তাকিয়ে আছেন ত্রাণের দিকে। ‘যা মিলছে, তা খুবই সামন্য’ বলে অভিযোগ তাদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, সারা দিনে সুরমা নদীর পানি দশমিক শূন্য চার সেন্টিমিটার কমেছে। তবে, কুশিয়ারা, সারি, লোভাসহ অন্যান্য নদীর পানি বাড়েনি, আবার কমেওনি। তবে পানি কমতে শুরু করলে নদী ভাঙনসহ আরও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানিবন্দি মানুষ শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন। এদিকে, বন্যার পানি ঢুকে পড়া বাসাবাড়িতে ব্যবহারের সাপ্লাইয়ের পানি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ (সিসিক)। তবে, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করছে তারা। সরবরাহ করা হচ্ছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও। যদিও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন পানিবন্দিরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তিনদিন জেলার লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিলেন। বরইকান্দি সাবস্টেশন ও শাহজালাল উপশহরে একটি ফিডার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। আজ সুরমার পানি কিছুটা কমায় বরইকান্দি সাবস্টেশন চালু করা হয়েছে। তবে উপশহর ফিডার এখনও পানির নিচে তলিয়ে আছে।
বন্যার এমন পরিস্থিতিতে জরুরি সভা ডেকেছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিসিকের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।