বঙ্গমাতা নিজের গহনা বেচে নেতাকর্মীদের সাহায্য করেছেন : আমু
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় পারিবারিক পিছুটান থাকলে কোনো মহৎ কাজ করা সম্ভব না। মূলত বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক হয়ে উঠেছেন তাঁর সহধর্মিণীর অনুপ্রেরণায়।
আজ শনিবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদের উদ্যোগে এই সভা হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গমাতা ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন, তখন বঙ্গমাতা নিজের গহনা বিক্রি করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাহায্য করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন জেলে নিল, তখন বঙ্গমাতা পরিবার সামলানোর পাশাপাশি দলও পরিচালনা করেছেন।’
‘বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর দুঃখকে বুকে ধারণ করেছেন, সুখকে ধারণ করেন নাই। তিনি চাইলে বঙ্গভবনে থাকতে পারতেন। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে নিঃস্বার্থভাবে অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা দিয়েছেন। পৃথিবীর কোনো নেতার স্ত্রীর এমন নিঃস্বার্থ সহযোগিতার কথা আমরা শুনিনি। বঙ্গমাতা পৃথিবীর নারীদের জন্য অনুকরণীয় নাম। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে, তেমনি বঙ্গমাতার নামও থাকবে’, যোগ করেন আমু।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধা।