অন্যের জন্য গড়া ট্রাইব্যুনালে আসামি হয়ে হাজির কামরুল-আমু
২০০৮ সালে শেখ হাসিনা সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর আইন প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। পরে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের জন্য ২০১০ সালে নিজ হাতে তৈরি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩-এর ৬ ধারার বলে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাইব্যুনালও গঠন করা হয়। সময়ের পরিক্রমায় নিজেই যুদ্ধাপরাধের আসামি হিসেবে হাজির হয়েছেন একসময়ের প্রভাবশালী মন্ত্রী। আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধে হাজির করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতে বিচারকাজ চলমান অবস্থায় একজন পিপি আসামি কামরুল ইসলামকে নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘পরের জন্য খোঁড়া কবরে নিজেকেই যেতে হচ্ছে।’
গত ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সাবেক এই দুই মন্ত্রীকে হাজির করার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে পৃথক দুটি আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন ও বি এম সুলতান মাহমুদ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন চিফ প্রসিকিউটর। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে ওবায়দুল কাদেরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪৫ জন মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যকে। ইতিমধ্যে তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ১৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য কামরুল ইসলামকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে।