ময়মনসিংহে হামলার ঘটনায় মির্জা ফখরুলের নিন্দা
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ফেরার পথে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা, নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনাকে কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সহকারী দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিএনপির মহাসচিব বলেছেন ‘আজ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ফেরার পথে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা, নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের আমলে আরও একটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী যে বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে, এটি তারই ধারাবাহিকতা।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানার নেতৃত্বে লংগাইর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপিনেতা আব্দুল হামিদ শেখের বাড়িতে এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ফেরার পথে মশাখালী ইউনিয়নের স্কুলের বাজার নামক স্থানে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ২৫ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন যুবদলনেতা শাহীন, পাগলা থানা সেচ্ছসেবক দলের নেতা শুপ্ত প্রধান, পাগলা থানা যুবদলনেতা আশরাফুল ইসলাম বাহার, পাইথল ইউনিয়ন ছাত্রদলনেতা মোজাহিদুল ইসলাম সোহান, নিগুয়ারি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোশাররফ মিয়া, মশাখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার তোফাজ্জল হোসেন, টাংগাবর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এরশাদ মিয়া, মশাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলনেতা শাওন, মশাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলনেতা মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে বিলীন করে আইনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা যেমন সমগ্র দেশে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বর্তমান সরকারের দোসর হিসেবে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আরও ভয়ঙ্কর রুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে, যেখানে আইন-কানুন, সুষ্ঠু বিচার কিছুই নেই।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থ চেহারা ঢাকতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর সহিংস হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। যেহেতু সরকারের জনসমর্থন নেই, তাই ক্ষমতায় টিকে থাকতে ফ্যাসিবাদী নীতি অবলম্বন করে নিজেদের কর্তৃত্ববাদী শাসন জারী রেখেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ থেকে সুশাসন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ময়মনসিংহে সংঘটিত আজকের বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি। গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’