সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করতে পারেনি আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
‘আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করতে পারেনি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি যে, এই সরকার যারা সব সময়ই সাম্প্রদায়িকার বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের আমলে যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন, যারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন, যারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন, তাদের ওপরে, তাদের জমিজমার ওপরে, তাদের বাসাবাড়ির ওপরে হামলা হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপরে যে রিপোর্ট হয়, সেই রিপোর্টে আজকে খুব পরিষ্কার। তারা উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এটাই বাস্তবতা, এটাই সত্য।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলে কিছু আছে, তা বিশ্বাস করি না। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সবাই একই সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেটাতেই বিশ্বাস করেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে দেশে যে গণতন্ত্রহীনতা চলছে, সেই গণতন্ত্রহীনকে দূর করে আমরা যেন মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে পারি, মানুষের অধিকারগুলো রক্ষা করতে পারি, আমরা যেন এই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি, আমরা এদেশের সাম্প্রদতায়িকতা সমস্ত বীজকে উপড়ে ফেলতে পারি, সে জন্য কাজ করছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশকে যেন আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি। এ জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই করতে হবে।’
সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ করে রাখা, মিথ্যায় মামলায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা, দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গুম-খুনে দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিহতের বিষয় তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।
দলের সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেশ দাস অপুর সভাপতিত্বে ও যুব দল নেতা তরুণ দে’র সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কুমার সরকার, কেন্দ্রীয়নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সুশীল বড়ুয়া, অপর্ণা রায়, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ মধু, মিল্টন বৈদ্য, সাবেক কমিশনার মীর আশরাফ আলী আজম, মোশাররফ হোসেন খোকন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।