সিরাজগঞ্জে ১৫০ মিটার স্পার বাঁধ যমুনায় বিলীন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বেতিল স্পার বাঁধে ধস নেমেছে। গত মঙ্গলবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত স্পার বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্পারটি ধসের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে এই এলাকার মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আজুগড়া সাবমেরিন কেবল সাইড এর সার্স লাইন, ফসলি জমি, বসতভিটাসহ বহু স্থাপনা।
এদিকে চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে নদী ভাঙনে এই এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন নদীতে বিলীন হয়েছে। আরেকটি দোতলা ভবন নদীর তীরে হেলে পড়েছে। যে কোনো সময় ভবনটি নদীতে ভেঙে পড়বে। এতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী ডিসেম্বরের ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে চাঁদপুর তামীরুল মিল্লাত হাফিজিয়া মাদ্রসা, সদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এলাঙ্গী আটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এলাকাবাসী জানায়, চলতি মাসে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। বেলকুচি উপজেলার মেহেরপুর থেকে চৌহালী উপজেলার বেড়িবাঁধ পর্যন্ত নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বসতভিটা নদী গর্ভে চলে গেছে। নদীতে বাড়িঘর হারানো মানুষ আশ্রয়ের অভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার বলেন, বেতিল স্পারে ধস নামায় স্পারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শুধু বস্তা ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। পানি কমে গেলে স্পারটি সংস্কার করা হবে।