সিলেটে রায়হান হত্যা : এএসআই আশেক এলাহী রিমান্ডে
সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন আহমদ (৩২) হত্যা মামলায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত কনস্টেবল হারুনুর রশিদের দ্বিতীয় দফায় আরো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম জানান, আদালতে আশেক এলাহীর সাত দিনের ও কনস্টেবল হারুনুর রশীদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আশেক এলাহীর পাঁচ দিন ও হারুনুর রশীদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. জিয়াদুর রহমান।
এর আগে, বিকেল ৩টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের আদালতে হাজির করে পিবিআই। গতকাল বুধবার রাতে সিলেট পুলিশ লাইনস থেকে আশেক এলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গত ২৪ অক্টোবর হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। রায়হানকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর আশেক এলাহীকে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
রায়হান হত্যা মামলায় এ নিয়ে বন্দর বাজার ফাঁড়ির তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ ছাড়া রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী শেখ সাইদুল ইসলামকে আটক করার কথা জানায় পিবিআই।
গত ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে নগরীর নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান উদ্দিন আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দর বাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস দুদফা রিমান্ড শেষে কারাগারে ও কনস্টেবল হারুনুর রশিদের আজ দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর হলো।
বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির তিন পুলিশ সদস্যের জবানবন্দিতে রায়হান হত্যায় আশেক এলাহীর নাম আসে। তিনি রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর এলাকা থেকে হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া জবানবন্দি দেওয়া তিন পুলিশ সদস্য রায়হানকে নির্যাতনের সময় ঘটনাস্থলে এএসআই আশেক এলাহীকে দেখেছেন।