‘দেখতেই খারাপ ব্রাজিলের গম, মান ঠিক আছে’
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম নিয়ে পত্রিকায় যেসব খবর ছাপা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সরকারকে বিব্রত করতে এবং তাঁকে হেয় করতেই এক শ্রেণির পত্রিকা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ভিত্তিহীন এই খবর প্রকাশ করছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মেসবাহর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে গমের যেসব ছবি দেখানো হচ্ছে সেই ছবির সাথে আমদানি করা গমের কোনো মিল নেই বলেও দাবি করেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলের গম আসলে দেখতেই খারাপ, তবে এর গুণগত মান ঠিক আছে।’
আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে গম আমদানি করা হয়েছে জানিয়ে খাদ্রমন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তীতে যখন বলা হলো গম খারাপ, পঁচা, নিম্নমানের তখন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সীলগালা করা অবস্থায় আবার নমুনা গ্রহণ করা হয়। সেই নমুনা আমাদের খাদ্য অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরিতে, সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে এবং আরো বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা করি।’
কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রথম বি নির্দেশ অনুযায়ী যে গম আমদানি করা হয়েছে, দীর্ঘ চার-পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও সেই গমের গুণগত মান নষ্ট হয়নি। অথচ পত্রপত্রিকায় নিউজ এসেছে এই গম পঁচা, নিম্ন মানের। আসলে এর কোনো ভিত্তি নেই।’
এই গম নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন হাইকোর্টে মামলা পরিচালনা করছেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট, অধিদপ্তরের রিপোর্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। প্রি ফিটমেন্ট সার্টিফিকেটও বলেছে খাবার উপযোগী। আমি জানি না কি ভিত্তিতে এসব নিউজ। পোকার কথা বলা হচ্ছে, যে গমের ছবি দেখানো হচ্ছে, সেই গমের সাথে আমাদের গুদামের গমের কোনো ছবির মিল নেই।’
মনের মাধুরি মিশিয়ে এক শ্রেণীর পত্রিকা ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করছে বলে এ সময় দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী। খালেদা জিয়া এ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চান বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘খালেদার জিয়ার শরীরে মানুষ পোড়ার দুর্গন্ধ অথচ তিনি এখন গমে দুর্গন্ধ খোঁজার চেষ্টা করছেন।’
সরকারকে এবং তাঁকে হেয় করার জন্যই এ খবর প্রকাশ করা হচ্ছে বলে আবারও দাবি করেন কামরুল ইসলাম।