‘যেদিন আমাকে ঢুকতে দেয়নি, সেদিনও জেলে দিতে পারতাম’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি তো তাঁকে জেলে দেই নাই। তাঁকে সাজা দিয়েছে আদালত। আমি তাঁকে জেলে দিলে, যেদিন তিনি অগ্নিসন্ত্রাস করেছেন তখনই তাঁকে জেলে দিতে পারতাম। এমনকি যেদিন তাঁর ছেলে মারা যাওয়ার পর আমাকে ঢুকতে দেয়নি সেদিনও জেলে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি তো সেটি করিনি।’
আজ বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। ওইদিনই রাত ৮টায় খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তখন খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে জানানো হয় তিনি অসুস্থ। পরে সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেই আদালত তাঁকে সাজা দিয়েছে। এ মামলা তো দিয়েছে খালেদা জিয়ার পছন্দের সেনা সমর্থিত সরকার। ১০ বছর এ মামলার বিচার কাজ চলেছে, এরপর রায় হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে মুক্তি চেয়ে লাভ কী। আমি কি জামিন দিতে পারব? জামিন দিলে দিবে আদালত, সেখানে আমার তো কিছু করার নেই। পারলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাক, রাষ্ট্রপতি যদি ক্ষমা না করেন তাহলে তাঁকে দোষ দিবেন।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই রায় দেওয়া হয়। এরপর থেকেই খালেদা জিয়া রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে আছেন।
ছোট দলগুলো জোট করে বিএনপির সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে যাচ্ছে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিন্দু বিন্দু থেকে সিন্ধু তৈরি হয়। আবার জিরো জিরো সমান জিরোই থাকে। সেটিও মনে করতে হবে।’