যাকে খুশি ভোট দিতে পারলে ফল মানবে বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান জানিয়েছেন, পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণ থাকলে যেকোনো ফলাফলকে স্বাগত জানাবে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মঈন খান। তিনি বলেন, ভোটাররা যেন নিঃসংকোচ চিত্তে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে এবং ফলাফল যদি সেই ভিত্তিতে হয়, যদি রেজাল্টশিট কোনো নির্দেশে পূর্ব নির্বাধিত না হয়, তাহলে সেই ফলাফলকে স্বাগত জানাবে বিএনপি।
এর আগে মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
মঈন খান অভিযোগ করেন, ‘গত ছয় সপ্তাহে পাঁচ হজারেরও বেশি বিএনপির নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। যাতে তারা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না পারে। আজ মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিগত চার থেকে ছয় সপ্তাহে সহিংসতার যতগুলো প্রতিবেদন পত্রপত্রিকায় এসেছে তার কয় শতাংশ সরকারি দলের বিরুদ্ধে আর কয় শতাংশ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। এই তথ্য তো আপনাদের কাছে আছে। তবে আমরা একটা হিসাব করে দেখেছি। এই সহিংসতা হয়েছে কিছুটা আওয়ামী লীগের দলের ভেতরে আন্তকোর্ন্দলের কারণে। কিন্তু পারস্পরিক দলগতভাবে যে সহিংসতা হয়েছে তার ৯০ শতাংশ হয়েছে বিরোধী দলের (বিএনপি) ওপর। এটা আপনাদের হিসাব অনুযায়ী।’
মঈন খান আরো বলেন, ‘ভোটের আগের দিন অমরা যে খুব সহনশীল অবস্থার মধ্যে আছি তা বলা
যাবে না। এই বিষয়গুলোর প্রতি আমরা নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। বিষয়গুলো আমরা যুক্তি দিয়ে বলেছি। নির্বাচন কমিশন যদি এসব সমস্যার সমাধান করে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে তাহলে নির্বাচন কমিশনের ওপর যে আস্থাহীনতা, তা দূর হবে।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হালিম, ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন এবং যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেন হোসেন আলাল।