সুন্দরবনে সাড়ে ৬ মণ হরিণের মাংস উদ্ধার
সুন্দরবনের টিয়ারচর সংলগ্ন কেওড়াবুনিয়া এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ছয় মণ হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এ সময় সংঘবদ্ধ চোরাশিকারি ও পাচারকারীরা বনের ভেতর পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করেছে বনবিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুবলা ফরেস্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে শনিবার ভোরে বনের টিয়ারচর ও কেওড়াবুনিয়ার মাঝামাঝি নদীতে অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানকারীরা একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করলে তাতে থাকা চোরাশিকারি ও পাচারকারীরা নদীতে লাফিয়ে পড়ে বনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে ওই নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় মণ হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকায় ১২-১৩টি হরিণের মাংস কেটে টুকরো টুকরো করা ছিল। এর মধ্যে শুধু একটি হরিণে আস্ত মাথা পাওয়া যায়।
বনবিভাগের ধারণা, ওই চোরাশিকারিরা আগেই ভাগেই হরিণের চামড়া ও মাথার শিং পাচার করে দিয়েছে। উদ্ধার করা মাংস দুবলা ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনের বিরুদ্ধে বন ও বন্যপ্রাণী আইনে মামলা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুবলারচরের কয়েকজন শুঁটকি ব্যবসায়ী বলেন, বনবিভাগের পাশাপাশি দুবলার চরে কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। তারপর কীভাবে চোরাশিকারিরা প্রতিনিয়ত হরিণ শিকার ও পাচার করছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।