মিন্টুর বিষয়ে ‘নো অর্ডার’, প্রার্থিতা নিয়ে দুই মত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়া রিটের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এই ‘নো অর্ডার’ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মিন্টুর পক্ষ থেকে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘হাইকোর্টে খারিজ হওয়া আদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করেছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ নো অর্ডার দিয়েছে। এতে করে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশন যে আদেশ দিয়েছেন, সেটা বহাল থাকবে। হাইকোর্টের খারিজ হওয়া রিটটিও বহাল থাকবে।’
তবে মিন্টুর আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগ কোনো আদেশ দেননি। আদেশ না দেওয়ায় আমরা মনে করছি, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আমাদের প্রার্থী জয়ী হবেন।’
এর আগে গত ৫ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে মিন্টুর প্রার্থিতা বহালের জন্য একটি রিট করা হয়। পরদিন সোমবার শুনানি শেষে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর পর মঙ্গলবার তিনি আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হলে চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আজ শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
গত ১ এপ্রিল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর কারণ হিসেবে হলফনামায় উল্লিখিত মিন্টুর এক সমর্থক ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটার নন বলে জানানো হয়। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন মিন্টু। তবে ৪ এপ্রিল তাঁর আপিল খারিজ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন বিভাগীয় কমিশনার।
এর পর প্রার্থিতা বহাল রাখতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন মিন্টু। সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন আদালত।
আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাই শেষে এরই মধ্যে প্রচারকাজ শুরু করেছেন মেয়র প্রার্থীরা।