খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, ভাঙচুর
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পল্লী ভবনের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই যুবকরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।urgentPhoto
সন্ধ্যা ৬টার দিকে কারওয়ান বাজারের পল্লী ভবনের সামনে গাড়ি থেকে বের হয়ে জনসংযোগ করছিলেন খালেদা জিয়া। মাইক্রোফোনে করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় কয়েকজন যুবক হৈ-চৈ করতে করতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের দিকে যেতে থাকেন। এতে বাধা দেওয়ায় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি হয়। পরে এক যুবক লাঠি হাতে খালেদা জিয়ার গাড়ির দিকে যান। সে সময় ওই যুবককে বাধা দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে আরো কয়েকজন যুবক খালেদা জিয়ার গাড়ির দিকে তেড়ে যান। তাঁদের বাধা দেন খালেদা জিয়ার নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী চেয়ারপরসনস সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা।
এ সময় আশপাশে থাকা ওই যুবকদের সঙ্গীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগান দিতে দিতেই তাঁরা বারবার তেড়ে যান খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের দিকে।
এরপর সিএসএফ সদস্যরা খালেদা জিয়ার গাড়িটি ঘিরে ধরে ঘটনাস্থল থেকে বের করে দেন। এ সময় কয়েকটি গাড়ির কাচ পেছন থেকে লাঠি ও ইট দিয়ে ভেঙে দেন কয়েকজন যুবক। সেখানে দু-তিনজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেলেও তাঁদের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না।
গাড়িবহরে হামলার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া সেখানে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁর প্রতি কালো পতাকা প্রদর্শন করে। এ সময় ওই স্থানীয়দের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাথে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে খালেদা জিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।’
গাড়ি ভাঙচুরের কথা জানতে চাইলে ওসি জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন থেকে বের হন। বহরে থাকা ১০টি গাড়িতে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছিলেন।
এই ঘটনায় কিছুটা সময়ের জন্য থমথমে অবস্থা বিরাজ করে কারওয়ান বাজার এলাকায় এবং আতঙ্কে মানুষ দিগদ্বিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
গতকাল রোববার উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরে তাবিথের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন খালেদা জিয়া। এ সময় কয়েক দফায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন তিনি।
গত শুক্রবার গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে জনসংযোগ শুরু করেন খালেদা জিয়া।
বর্ষবরণের দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাসাসের এক অনুষ্ঠানে এসে প্রথম বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীদের জন্য ভোট চান খালেদা জিয়া। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য তাবিথ আউয়ালকে এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য মির্জা আব্বাসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তাঁর পাশে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।