সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের
ঢাকার দুটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (নিক)। আগামী ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চারদিন সেনাবাহিনী দুই মহানগরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। রিজার্ভ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন সেনা সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসাররা যখনই চাইবেন, তখনই তারা (সেনাবাহিনী) তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে আসবে এবং যা করা প্রয়োজন তাই করবে।’
ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সেনা সদস্যদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে কি না, তা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘কোনো সময়ই সেনাবাহিনীকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এবারও দেওয়া হবে না। তারা শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকবে।’
কী পরিমাণ সেনা মোতায়েন করা হবে -এমন প্রশ্নের জবাবে মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচন কমিশনের যত সংখ্যা প্রয়োজন তত সংখ্যাই ব্যবহার করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আর কোনো বৈঠক করবেন কি না -জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘ইতিমধ্যেই দুইবার বৈঠক করা হয়েছে। আর কোনো বৈঠকের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করছি না।’
এদিকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সবার জন্য সমান হচ্ছে না- এমন অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সবার জন্যই সমান আছে। এটা মেনেই সবাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকরা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী ও মো. শাহ নেওয়াজ, নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব জেসমিন তুলি, ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম, দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ, চট্টগ্রামের রিটার্নিংকর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল বাতেন।