জামালপুরে সাংবাদিক নাদিমের দাফন সম্পন্ন
জামালপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ এন এম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সাংবাদিক নাদিমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। পরে নাদিমের মরদেহ নিলক্ষিয়া গোমেরচরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাথাটির এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। হামলায় জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেলেও বাকি দুজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। আটক চারজন হলেন—গোলাম কিবরিয়া সুমন, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, আইনাল হক ও কফিল উদ্দিন।
সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয়েছে। নাদিমের বাবা আব্দুল করিম বলেন, ‘জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিম জানিয়েছে, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। বাবু চেয়ারম্যান এই হামলার মূল হোতা বলে সে জানিয়েছে।’
নাদিমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মাহমুদুল আলম বাবু চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফাহিম রিফাতের নামে মামলা করব।’
এদিক, ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। তার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বাবু চেয়ারম্যানকেও ধরতে অভিযান চলছে। অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে। পরে আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’