ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কূটনৈতিক ভাষা বোঝেন না, দাবি রিজভীর
ক্ষমতাসীন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা কূটনৈতিক ভাষা বোঝেন না বলে দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘কূটনৈতিক ভাষা ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বোঝেন না। এ জন্যই ‘ন’ কে ‘ণ’ মনে করেন। ‘ক’ কে ‘খ’ মনে করেন। তাই তো মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।’
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১৮ ও ১৯ জুলাই বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর পদযাত্রা কর্মসূচি সফল হয়েছে দাবি করে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগের পক্ষে জনগণের রায় ঘোষিত হয়েছে এই কর্মসূচিতে। পদযাত্রায় বাঁধ ভাঙ্গা স্রোতের মতো মানুষের সমাগম হয়েছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মানুষের বিশাল মিছিল গোটা মহানগরী প্রদক্ষিণ করেছে। পদযাত্রার বিশাল পরিসর দেখে আওয়ামী নেতারা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের প্রতিহিংসার জ্বালা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
পদযাত্রায় হামলার অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘লক্ষীপুরের কৃষকদল নেতা সজীব হাসানের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গুলি এবং অস্ত্রের আঘাতে জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। বিএনপির পদযাত্রা এগিয়ে গেলে তারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) নিষ্ঠুর কায়দায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। এদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ বাহিনীর বেশকিছু সদস্য।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী আজ প্রত্যাখাত। ওবায়দুল কাদের সাহেবদের গলাবাজি দিয়ে সরকারের অবৈধ সত্ত্বাকে সুরক্ষা দেওয়া যাবে না। এবারে আওয়ামী তরী ডুবন্ত, এটিকে আর টেনে তোলা যাবে না। ক্ষমতা ধরে রাখার আর কোনো কৌশল তাদের কাজে আসবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রকে মরণযাত্রায় পাঠিয়ে তারা ভেবেছিল, বাংলাদেশকে চিরস্থায়ীভাবে শেখ রাজত্বে পরিণত করবে। দেশের মানুষের মন থেকে স্বপ্ন, আশা মুছে দিয়ে এক হতাশার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে। এবার জনগণ অবৈধভাবে সাজানো শেখ হাসিনার মসনদ ভেঙে তছনছ করে দিবে। আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় দলবাজ দিয়ে রাজত্ব ধরে রাখা যাবে না।’
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে আহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘আমাদের প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধি হয়ে একজন মারা গেছে। ৩১০টি মামলায় ১১ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে।