শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তাঁর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে দেশে যে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, সেটা তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন। তাঁর নির্বাচনে বিরোধীদল থাকে জেলখানায়। নির্বাচনি মাঠ শূন্য করার জন্য একের পর এক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না। তাই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে।
আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেরাণীঞ্জের জিনজিরায় জনি টাওয়ারের সামনে পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আসফার। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার, তমিজউদ্দিন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ। সমাবেশ শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে পদযাত্রা শুরু হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছেন না কেনো? তিনি যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য যান সেখানে চিকিৎসায় ধরা পড়তে পারে কারাগারে বন্দি রাখা অবস্থায় তার খাবারে বিষ মিশানো হয়েছিল কি না। বিদেশে উন্নত ল্যাবে এটা ধরা পড়তে পারে। এই কারণেই দেশনেত্রীকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
রিজভী আরও বলেন, আমাদের ধারণা ও আশঙ্কা হয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। কারণ শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় ভয় ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। পথের কাঁটা দূর করতে, নির্বাচনি মাঠ শূন্য করতে রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে, আইন-আদালত ব্যবহার করে বন্দি করা হয়েছিল।
রিজভী আরও বলেন, যে সুস্থ মানুষটি কারাগারের ভেতরে গেলেন, আজকে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কেনো? কারণ, শেখ হাসিনার বিরাট চক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে তুলে দেওয়া হবে। উনি যে রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী সেই এক দল থাকবে, এক নেত্রী থাকবে। কেউ কোনো সত্য উচ্চারণ করবে না। যে করবে সে গুমের শিকার হবে বা বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হবে। এই কারণেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা জেলার ধামরাই, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ, দোহার, সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা জনি টাওয়ারে সামনে সমবেত হন।