প্রতিবেশীকে হত্যা : একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, সাত জনকে খালাস
জামালপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশি আনতাজ আলীকে হত্যার ঘটনায় আবু বক্কর নামে একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও সাত জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সুলতান মাহমুদ এ রায় দেন।
রায়ের সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শাহাজাদপুর মধ্যপাড়া গ্রামে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ২৯ জুন আনতাজ আলীকে তার বাড়িতে এসে মারধর ও কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে প্রতিবেশি আবু বক্কর ও তার লোকজন। পরের দিন ৩০ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আনতাজ আলীর। পরদিন নিহত আনতাজ আলীর স্ত্রী পিয়ালা বেগম বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আবু বক্করকে প্রধান আসামি করা হয়। অন্যান্য আসামিরা হলেন—আবু বক্করের বড় ভাই আবু তাহের, ছোট ভাই মোজাম্মেল, স্ত্রী খুশি বেগম, মা তারা বানু, আবু তাহেরের স্ত্রী রিক্তা বেগম, মোক্তার হোসেন, ফজলু। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ ১০ বছর বিচারের পর ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামিদের উপস্থিতিতে আজ বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায়ে প্রধান আসামি আবু বক্করকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় নিহত আনতাজ আলীর মেয়ে আঞ্জু বলেন, মামলার সব আসামিরা আমার বাবাকে মারধর করে হত্যা করেছে। ঘটনার দিন আমাকেও মারধর করে তারা। শুধুমাত্র একজনকে সাজা ও বাকিদের খালাস দেওয়ায় এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব, আমরা ন্যায়বিচার চাই। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম তারা। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।