দ্বিতীয় দিনের বাংলা ব্লকেড শেষে রাজধানীতে যান চলাচল শুরু
গত শনিবার ঘোষণা দিয়ে রোববার (৭ জুলাই) থেকে শুরু হয় কোটাবিরোধীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি। আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের এই কর্মসূচি। এতে রাজধানীর সড়ক প্রথমে যানজটে অচল এবং পরে কিছু সময় চলাচল করে যান শূন্য হয়ে পড়ে। এমন অবস্থা চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। তারপর অবরোধ ছাড়েন কোটাবিরোধীরা। সড়কে চলতে শুরু করে যানবাহন। কোটাবিরোধীরা বলছেন, চলমান বাংলা ব্লকেড শক্তিশালী করতে মঙ্গলবার স্থগিত রেখে বুধবার থেকে শুরু হবে। এ সময়ে চলবে ছাত্র ধর্মঘট।
এর আগে আজ বিকেল থেকে কোটাবিরোধীদের বাংলা ব্লকেড ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব শুধু নয়, এখন তা চলে এসেছে বাংলামটর-ফার্মগেটে। একপর্যায়ে এই আন্দোলন থেকে উচ্চারণ করা হয় হুঁশিয়ারি। বলা হয়—আগামীকাল মঙ্গলবারও (৯ জুলাই) চলবে বাংলা ব্লকেড। এতে বাধা দেওয়া হলে তা প্রতিহত করা হবে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা পড়ার টেবিলে ফিরবেন না। যদিও আগের এক দফায় দেখা দেয় মিশ্র চাহিদা। তখনও গঠন হয়নি তাদের কমিটি। সে সময় সমন্বয়কদের কেউ কেউ ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের এক দাবি থেকে কিছুটা সরে গিয়ে বলন, পিছিয়ে পড়াদের ন্যূনতম কোটা বরাদ্দ রেখে বাকিটা বাতিল করলে তারা তা মেনে নেবেন। পরে গঠিত হয় তাদের ৬৫ সদস্যের কমিটি। যে কমিটিতে ২৩ জন সমন্বয়ক এবং বাকিরা সহসমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিনিধিদের নাম রয়েছে এই কমিটিতে।
আজ রাতে বাংলা ব্লকেড ছেড়ে যাওয়ার আগে আগামীকাল ছাত্র ধর্মঘটের ঘোষণা দেন কমিটির নেতারা। এরপর গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনে ব্লকেড থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গ টেনে কোটাবিরোধীদের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ বলেন, ‘আমরা ব্লকেড কর্মসূচি থেকে সরে যাইনি। কালকের জন্য এটি স্থগিত করেছি। আমরা বুধবারে আরও বড় করে বাংলা ব্লকেড করার প্রস্তুতির জন্য কাল সারা দেশে বৈঠক ও গণসংযোগ করব। এ সময়ে ছাত্র ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল আমরা অনলাইনে প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে বুধবারের কর্মসূচি জানাব।’
২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলনে আছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। যদিও গতকাল থেকে তারা এক দফায় নেমে আসেন।