বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকতে না দেওয়ার নিয়ম বাতিল করছে ঢাবি
আলোচনা-সমালোচনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী হলগুলোর আসন বণ্টন–সম্পর্কিত নীতিমালায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ম বাস্তবায়ন হলে বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকার ক্ষেত্রে বাধা থাকবে না।
আজ বুধবার প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত থাকা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেলওয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রভোস্ট স্টান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাসির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা।
পরে ড. দেলওয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের থাকার ক্ষেত্রে আগের বিধান ছিল- তারা হলে থাকতে পারবে না। সেটা এখন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এখন থেকে বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকতে আর কোনো বাধা থাকবে না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে যে, মা ও সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের পরিবারের কাছে থাকা ভালো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী রাতে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এই সিদ্ধান্ত আগামী সিন্ডিকেট সভায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তা চূড়ান্ত অনুমোদন করা হবে।
সূত্র জানায়, আজকের সভার আলোচ্যসূচিতে ছাত্রী হলের আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে থাকা নিয়মটি ছিল। সভায় প্রভোস্ট স্টান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা আবাসিক ছাত্রীদের হলে থাকার বিষয়ে যে বিধিনিষেধ ছিল, তা রহিত করার সুপারিশ করা হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পারিবারিক পরিবেশে রাখাটা বিশ্ববিদ্যালয় সমীচীন মনে করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীহলে আসন বণ্টন–সম্পর্কিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়মভঙ্গের কারণে তার সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’
সম্প্রতি এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে বিবাহিত দুই ছাত্রীর সিট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই পাঁচটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন।