বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সময় নিরাপদ থাকার উপায়
বজ্রবৃষ্টি বা ভারী বর্ষণে এই বৃষ্টিই আবার হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। নিরাপদ আশ্রয়ে লুকানোর পরেও বজ্রপাতের দানবীয় গর্জনে হৃদস্পন্দন যেন প্রায় থেমে যাবার জোগার হয়। সেইসঙ্গে বন্যা ও ভূমিধ্বসের মতো তাণ্ডব লীলা ইট-পাথরে মজবুত কাঠামোকেও পরিণত করে ধ্বংসযজ্ঞে। ঝড় থামলেও হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই, কেননা এ সময় শুরু হয় মশা ও নানা কীট-পতঙ্গজনিত রোগের ভয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সরাসরি মোকাবিলা করা অসম্ভব। কিন্তু আগে থেকে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়গুলো জানা থাকলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে। চলুন, ভারী বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সময়ে নিরাপদ থাকার উপায়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
১. গাড়ি চালানো অবস্থায় হঠাৎ ভারী বর্ষণ শুরু হলে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে দিন। অতিবৃষ্টিতে দিনের বেলায়ও চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে। এছাড়া পানি লেগে গাড়ির সামনের গ্লাস ঝাপসা হয়ে যায়, যা গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ সময় হেডলাইট জ্বালানো থাকলে অন্তত অন্য ড্রাইভাররা আপনার গাড়ি দেখতে পাবে।
২. গাড়ি চলমান থাকার সময় পানিতে প্লাবিত রাস্তা এড়িয়ে চলতে হবে। আপাত দৃষ্টে পানি যতটা দেখা যায় তার চেয়েও গভীর হতে পারে। তার নিচে ধারালো বস্তু, গর্ত এমনকি বৈদ্যুতিক তার থাকতে পারে। গর্তে বা অতিরিক্ত পানিতে আটকা পড়া যানবাহন প্রায় সময়ই অকেজো হয়ে যায়।
৩. বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্দেশ্য থাকবে একটা নিরাপদ স্থান দেখে গাড়ি পার্ক করা। কিন্তু তাই বলে তাড়াহুড়া করে জোরে ব্রেক চেপে ধরা যাবে না। যতটা সম্ভব ধীরে ধীরে গতি একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। অন্যথায় বৃষ্টির কারণে স্যাঁতস্যাঁতে রাস্তার উপর টায়ার পিছলে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে।
৪. গাড়ি পার্ক করার সময় বিদ্যুতের লাইনের নিচে, ইউটিলিটি খুঁটি বা সাবস্টেশনের পাশের জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন। কেননা ভেজা থাকা বা দুর্যোগজনিত কোনো ত্রুটির কারণে এগুলো বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকতে পারে। তাই এগুলোর সংস্পর্শে আসাটা বিপজ্জনক। এমনকি গাছের নিচের জায়গাগুলোও এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ ডালপালা ও ধ্বংসাবশেষ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।