সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান মেলায় বিজয়ীদের উচ্ছ্বাস
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে শেষ হলো আন্তস্কুল বিজ্ঞানমেলা। গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া বিজ্ঞান মেলার পর্দা নামে গতকাল শনিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই মেলায় ১৯ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে বিভিন্ন স্কুল থেকে অংশগ্রহণকারী ‘ক্ষুদে বিজ্ঞানী’রা। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরষ্কার। এতে উচ্ছ্বসিত তারা।
অনুষ্ঠানে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি ড. মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ, গোপালগঞ্জ এ কে এম ছরোয়ারজান বিশ্বাস কলেজের অধ্যক্ষ ও সদস্য সচিব মোল্লা শহীদুল ইসলাম, এনটিভি অনলাইনের চিফ রিপোর্টার অ্যাডভোকেট মো. জাকের হোসেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছে বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ক্লাবের মডারেটর ও প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আজকের এ প্রতিযোগিতা নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের আবিষ্কারে উৎসাহ জোগাবে। বিজ্ঞানমনষ্ক জাতিগঠন করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেবে। এই শিক্ষার্থীরাই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনটিভি অনলাইনের চিফ রিপোর্টার অ্যাডভোকেট মো. জাকের হোসেন বলেন, ‘অজপাড়ায় গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের ফলে দেশবিদেশে সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লার যোগ্য নেতৃত্ব এ প্রতিষ্ঠান সারা দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’ বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্যরা ভবিষ্যতে চন্দ্র অভিযান নয়, সূর্য অভিযান করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষানিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমার সামনে যারা বসে আছে এসব শিক্ষার্থী একেকজন আগামীর বাংলাদেশ। শুধু একাডেমিক পড়াশোনা নয়, দেশ ও সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে তারা। বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখাকে কাজে লাগিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করি।’
অনুষ্ঠানে ক্লাবের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘২০২৩ সালে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৬৪ জন ছাত্রছাত্রী ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে, যা সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রেকর্ড তৈরি করেছে। এ ছাড়া এসএসসির ফলাফল, ডিবেটিং ক্লাব, স্কাউটিং, পঞ্চম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণির বৃত্তিসহ সারা দেশে ফলাফলের দিক থেকে প্রথম স্থান অর্জনের সুনাম কুড়িয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পরিশ্রম এ অর্জন।’ তিনি উপস্থিত অতিথিসহ সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানের এই পর্যায়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, অভিনয়, উপস্থিত বক্তব্য পরিবেশন করে। পরে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।