চট্টগ্রামের রান পাহাড়ে ডুবল বরিশাল
সিলেটের ভেন্যুতে রান বন্যার জোয়ার তুলল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আবিস্কা ফার্নান্দোর ব্যাটিং ঝড়ে স্কোরবোর্ডে জমা করল চলতি বিপিএলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। যে সংগ্রহের সামনে আশা জাগিয়েও পারল না ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামের রান পাহাড়ের সামনে ডুবল তামিম ইকবালের বরিশাল।
বিপিএলে ১১তম ম্যাচে বরিশালকে ১০ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। টানা দুই জয়ের পর গেল ম্যাচে হার দেখা চট্টগ্রাম আবারও ফিরল জয়ের ছন্দে। অন্যদিকে এই নিয়ে তৃতীয় হারের মুখ দেখল তামিম-মাহমুদউল্লাহদের দল।
সিলেট পর্বের প্রথম দিন দেখা মেলেনি রান উৎসবের। গতকাল দিনের দুই ম্যাচই ছিল মাঝারি রানের। তবে, সেই খোলস ছাড়িয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দেখাল রানের জোয়ার। সেই জোয়ার টপকাতে পারল না বরিশাল।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৯৩ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেছেন ওপেনার আবিস্কা ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ফার্নান্দোর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫০ বলে ৫টি ছক্কা আর ৭টি চারে।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বরিশাল। ওপেনিং জুটিতে শেহজাদ ও তামিম মিলে তোলেন ৫৫ রান। ষষ্ঠ ওভারে ঝড় তোলার শেহজাদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বেলাল খান। ফেরার আগে তিনি করে যান ১৭ বলে ৩৯ রান।
দলীয় ৯১ রানে ফিরে যান তামিমও। ৩০ বলে ৩৩ করে বিদায় নেন তামিম। এই জুটি ভাঙার পর মিডল অর্ডারে আশা জাগান মেহেদী মিরাজ। তবে তিনি ফিরলে আর জয়ের দুয়ারে যেতে পারেনি বরিশাল। নির্ধারিত ওভারে ১৮৩ রানে থামে বরিশাল।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু আগে বোলিং নিয়েও সুযোগটা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারেনি বরিশাল। তাইজুল শুরুতে তানজিদ ও ইমরানুজ্জামানকে ফেরালেও থিতু হয়ে যান ফার্নান্দো। দলের হয়ে একাই লড়তে থাকেন তিনি। মাঝে ছোট ছোট ইনিংসে ভূমিকা রাখেন শাহাদাত হোসেন দিপু, নাজিবুল্লাহ জাদরানরা।
তবে দলের রানের গতি ঠিক রেখে একাই ছুটেছেন ফার্নান্দো। একটা সময় মনে হয়েছে সেঞ্চুরিও পেয়ে যেতে পারেন চট্টগ্রামের এই বিদেশি ক্রিকেটার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওভার শেষ হওয়াতে তা আর সম্ভব হয়নি। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থেকে শেষ হয় তার ইনিংস। ৯১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে এনে দেনে লড়াইয়ের পুঁজি। তাঁর সঙ্গে শেষ দিকে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন কার্টিস ক্যাম্পার।
বরিশালের হয়ে বল হাতে ২৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৪৩ রান দিয়ে কামরুল ইসলাম পেয়েছেন মোটে একটি।