বাবরের ব্যাটে ঢাকাকে কঠিন লক্ষ্য দিল রংপুর
বিপিএলে এবার রানবন্যার উইকেটের প্রতিশ্রুতি ছিল আয়োজকদের। যদিও মিরপুরে দেখা মিলেছে সেই চিরচেনা উইকেটের। যা কিছুটা হতাশ করেছে সমর্থকদের। অবশ্য, মিরপুরে না হলেও সিলেটে দেখা মিলেছে রানবন্যার। কুমিল্লা-বরিশাল ম্যাচের পর এবার দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ল রংপুর।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৩ রান তোলে রংপুর। দলটির হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন বাবর আজম।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার বাবর আজম ও ব্রেন্ডন কিংয়ের ব্যাটে ভালো শুরু করে রংপুর। যদিও দলীয় ২২ রানের মাথায় কিংয়ের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। তাসকিনের বলে আলাউদ্দিন বাবুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কিং। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২০ রান।
কিংয়ের বিদায়ের পর রনি তালুকদারকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন বাবর। তবে, এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় আরাফাত সানির বলে রসের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন রনি। সাত বলে ১১ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
পাওয়ার প্লের আগে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে রংপুর। তবে, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন বাবর। ৩৯ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৯৭ রানে বিদায় নেন সোহান। আউটের আগে করেন ২৪ বলে ২৬ রান। সোহানের বিদায়ের পর নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ নবীও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। মাত্র দুই রানের মাথায় বিদায় নেন নবী।
আফগান এই ব্যাটারের বিদায়ের পর ৪১ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন বাবর। যা চলতি আসরে তার দ্বিতীয় ফিফটি। ওমরজাইকে নিয়ে মারকুটে ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন বাবর। তবে, দলীয় ১৩৮ রানের মাথায় ৪৬ বলে ৬২ রান করে আউট হন তিনি।
বাবর আউট হলেও ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান ওমরজাই-শামীম। এই দুইজনের ব্যাটে চড়ে শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ১৮৩ রান দাঁড় করায় রংপুর। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন স্পিনার আরাফাত সানি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স : ২০ ওভারে ১৮৩/৮ (কিং ২০, বাবর ৬২, রনি ১১, সোহান ২৬, নবী ১, ওমরজাই ৩২ ,শামীম ১৭, মেহেদী ৮, রিপন ১, হাসান ০; তাসকিন ২-০-১৪-১, শরিফুল ৪-০-৩৫-০, সানি ৪-০-৩২-৩, বাবু ৪-০-৪৩-১, গুনাথিলাকা ৩-০-২৫-১, মোসাদ্দেক ৩-০-৩২-০)