তামিম-সাকিব যেন মাথাব্যথার কারণ!
তামিম ইকবাল জাতীয় দলে ফিরবেন? সাকিব আল হাসান কি খেলতে পারবেন? বাংলাদেশ দলের দুই মহাতারকাকে নিয়ে দুটি ভিন্ন প্রশ্ন, চিন্তা অভিন্ন। অবসর নাটকের পর দেড় বছরের মতো পার হলেও তামিমের ফেরার নাম নিশানা নেই। রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে সাকিব আছেন অনিচ্ছার নির্বাসনে। সঙ্গে যোগ হয়েছে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন। দুইয়ে মিলে আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনিশ্চিত দুজন। আর এই দুজনই যেন হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মাথাব্যথার অন্যতম কারণ।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এর আগে ১২ জানুয়ারির মধ্যে আইসিসিকে ১৫ সদস্যের প্রাথমিক দল জমা দেবে বিসিবি। এরপর অবশ্য চাইলে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে দলে পরিবর্তন আনা যাবে। যার কারণে গত ৮ জানুয়ারি তামিমের সঙ্গে বসেছিল বিসিবি। তারা চান তিনি যেন ফিরে আসেন।
তামিম অবশ্য সময় চেয়েছেন। এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে জানাবেন বলে বিসিবির কাছ থেকে দুয়েকদিন সময় চেয়েছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় বলা তামিমের কথার প্রেক্ষিতে অনেকটা বোঝা যায়, জাতীয় দলে ফিরতে তিনি আগ্রহী নন।
সাকিবের বিষয়টি তার নিজের হাতে নেই। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনে অভিযুক্ত সাকিব নির্দোষ প্রমাণিত হতে পরীক্ষা দিয়েছেন। গত বছর ২ ডিসেম্বর বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটিতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে ফলাফল পক্ষে আসেনি। জানা গেছে, সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে দেওয়া পরীক্ষার ফলও নেতিবাচক এসেছে। এই ব্যাপারে বিসিবি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
সবমিলিয়ে ঝুলে আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমের খেলা। বড় একটি প্রশ্ন, দুজন একসঙ্গে খেলবেন কি না! ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে যে তিক্ততা প্রকাশ্যে আসে, তার রেশ এখনও কাটেনি। দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, ফাটল ধরেছিল আত্মবিশ্বাসে। যার ফল বিশ্বকাপেই দেখেছিল সবাই।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আইসিসির দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানে ভালো করতে হলে নিঃসন্দেহে থাকতে হবে দলীয় ঐক্য। তার আগে দলটা তো গঠন করতে হবে। সাকিব-তামিমকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় বিসিবির এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা তো দল গঠনই।