রিভিউ-ই লিখল চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য
চট্টগ্রাম টেস্টের শুরুটা হয়েছিল রিভিউ দিয়ে। মেহেদি হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউর আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউয়ের আবেদন করে বাংলাদেশ পেয়েছিল সফলতা। তখনো বোঝা যায়নি যে এই ম্যাচে রিভিউ কতটা প্রভাব ফেলবে। শেষ পর্যন্ত পুরো ম্যাচটাই হয়ে থাকল রিভিউময়। গড়ল নতুন রেকর্ড।
একের পর এক রিভিউ আবেদনের পর অনেকেই ‘ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম’কে (ডিআরএস) ঠাট্টা করে ডাকছেন ‘ধর্মসেনা রিভিউ সিস্টেম’ বলে। কারণ শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার সিদ্ধান্তকেই বেশি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ধর্মসেনার ১৬টি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউয়ের আবেদন করেছিলেন কুক-মুশফিকরা। এর মধ্যেই আটবারই ভুল প্রমাণিত হয়েছেন ধর্মসেনা। পাল্টে গেছে তাঁর দেওয়া আউট বা নট আউটের সিদ্ধান্ত। এটাই এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি ভুল সিদ্ধান্তের নতুন রেকর্ড। আম্পায়ার হিসেবে নিশ্চয়ই এই রেকর্ডের ভাগিদার হতে চাননি ধর্মসেনা।
এক ইনিংসে ও এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রিভিউয়ের নতুন রেকর্ডও গড়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। প্রথম ইনিংসে দেখা গিয়েছিল ১০টি রিভিউ। এটাই এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রিভিউয়ের নতুন রেকর্ড। আর পুরো টেস্ট মিলিয়ে দেখা গেছে ২৬টি রিভিউ। এটাও এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রিভিউয়ের নতুন রেকর্ড।
এই রিভিউই শেষপর্যন্ত গড়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য। গত মাসে চালু হওয়া ডিআরএসের নতুন নিয়মের বলি হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাইজুল ইসলামকে। পঞ্চম দিনে তাইজুল যখন আউট হন, তখন জয় থেকে বাংলাদেশ মাত্র ২২ রান দূরে ছিল। ১৬ রান করা তাইজুল এলবিডব্লিউর ফাঁদে না পড়লে হয়তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ।