হাসনাত করিমের জামিন নাকচ
রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে চালানো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের জামিন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাসনাত করিমের পক্ষে জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপপরিদর্শক ফরিদ মিয়া এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশান আড়ংয়ের সামনে থেকে হাসনাত করিমকে ৫৪ ধারায় আটক করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। অবশ্য পরে হাসনাত করিমকে মূল মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
হাসনাত করিম বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের দ্বৈত নাগরিক। গুলশান হামলার ঘটনার আগে তিনি দেশে এসে বাবার প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গুলশান হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নয়জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন, হলি আর্টিজান বেকারির ক্যাশিয়ার আল-আমিন চৌধুরী সিজান, ওই রেস্তোরাঁর স্টাফ মিরাজ হোসেন, রাসেল মাসুদ, বাবুর্চি মো. শাহিন, শাহরিয়ার, তুহিন, শিশির, মেট্রোরেল প্রকল্পের ড্রাইভার বাসেদ সরদার এবং রেস্তোরাঁয় খেতে আসা ভারতীয় নাগরিক সত্য প্রকাশ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টায় গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে।
এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। সেই রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরের দিন সকালে যৌথবাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে পাঁচ হামলাকারী নিহত এবং একজন গ্রেপ্তার হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে।
কমান্ডো হামলায় নিহত জঙ্গিরা হলেন মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও সফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল।
এ ঘটনায় গত ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।