নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী
তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। এই সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার বর্তমান সরকারের মেয়াদের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চলতি মেয়াদের তিন বছর অতিক্রম করলাম। আমাদের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’
দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা অবৈধ পথে ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করেছি।’
পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার ওপর সব রাজনৈতিক দল আস্থা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সকল রাজনৈতিক দল মহামান্য রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে গঠিত নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখবেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিবেন এবং দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জোট নির্বাচন বর্জন করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দল এবং প্রার্থীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের সময় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত ছিল। সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।
৯২ দিন দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আন্দোলনের নামে বিএনপির চেয়ারপারসন আবার জ্বালাও-পোড়াও-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উসকে দেন বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই তিন মাসে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে ২৩১ জন নিরীহ মানুষ নিহত এবং এক হাজার ১৮০ জন আহত হন। তারা দুই হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেল গাড়ি ও ৮টি লঞ্চে আগুন দেয়। ৭০টি সরকারি অফিস ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং ৬টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।’
‘দেশবাসী তাদের এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রত্যাখ্যান করেছেন। জনগণ এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।