‘মন্ত্রীর কথা বলে তাবিথকে মসজিদে ঢুকতে বাধা’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নামাজ পড়তে যাবেন জানিয়ে বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে তাঁর নির্বাচনী এলাকার একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাবিথের নির্বাচনী প্রচারণায় গণমাধ্যম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল এ অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগটিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, তেজগাঁওয়ের রহিম মেটাল জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের কথা ছিল তাবিথ আউয়ালের। কিন্তু সেখানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নামাজ পড়তে যাবেন জানিয়ে পুলিশ তাঁকে মসজিদে ঢুকতে দেয়নি।’
সোহেল আরো বলেন, ‘নাবিস্কো এলাকায় গণসংযোগের পর তাবিথ আউয়াল পাশের রহিম মেটাল জামে মসজিদে গেলে সেখানকার পুলিশ বলে, এখানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নামাজ পড়বেন। তাই তিনি যেন অন্য কোনো মসজিদে নামাজ পড়তে যান। পরে তাবিথ নাখালপাড়া বড় মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন।’
এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রহিম মেটাল মসজিদে তাবিথ আউয়ালের নামাজ পড়তে যাওয়ার খবরটি আপনাদের কাছেই জেনেছি। উনি বা অন্য কেউ এটা আমাদের জানাননি। আর তাঁকে বাধা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বেগুনবাড়ীর সিদ্দিক মাস্টার ঢালের মসজিদে নামাজ পড়েছেন। আমিও সেখানে ছিলাম।’
ওসি প্রতিবেদকের কাছে পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, ‘মসজিদে নামাজ পড়তে কেউ কাউকে বাধা দেয় নাকি?’
নির্বাচনী বিধিমালায় কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ধর্মীয় আচার পালনে বাধা নেই।
এই ঘটনার আগে তাবিথ আউয়াল মহাখালীর সাততলা বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করেন। জনসংযোগে তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির প্রার্থী, কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয়।
একই রকম অভিযোগ করে আরেক প্রার্থী জোনায়েদ সাকি, নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগানোর দাবি জানান। বিকেলে বসিলা উত্তরপাড়া ও মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার কথা রয়েছে তাবিথের। আগামী রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন।