হাফিজের অপেক্ষার প্রহর শেষ
প্রায় এক যুগ আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক। ২০০৩ সালের আগস্টে করাচিতে জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংসে দুই রান করে আউট হয়ে গেলেও পরের ইনিংসে পেয়ে যান ফিফটি। পেশোয়ারে পরের টেস্টেই মেতে ওঠেন সেঞ্চুরির আনন্দে। পাকিস্তান দলে জায়গা পাকা করতে তাই সমস্যা হয়নি মোহাম্মদ হাফিজের। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা আর অফব্রেকে নিয়মিত উইকেট শিকার করে তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। একটা আক্ষেপ অবশ্য ছিল হাফিজের। টেস্টে দু-দুবার দ্বিশতকের দোরগোড়া থেকে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। তবে খুলনায় আক্ষেপে পুড়তে হয়নি। এখন তিনি দ্বিশতকের আনন্দে বিভোর।
১৩৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা হাফিজ টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক তুলে নিয়েছেন মধ্যাহ্ন-বিরতির কিছুক্ষণ পর। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২২৪ রান করে। ৩৩২ বলের চমৎকার ইনিংসটা সাজানো ২৩টা চার ও তিনটা ছক্কায়।
এর আগে দুবার খুব কাছে গিয়েও দ্বিশতকের দেখা পাননি হাফিজ। প্রথমবার ২০১২ সালে কলম্বোতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন ১৯৬ রানে। পরেরটি পাকিস্তানের ঠিক আগের টেস্টে। গত নভেম্বরে শারজায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১৯৭ রান। তবে এবার আর দ্বিশতক না পাওয়ার আফসোসে পুড়তে হলো না হাফিজকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে চরম ব্যর্থ ছিলেন হাফিজ। তিন ম্যাচে মাত্র ৮ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। তবে টেস্টে ছন্দে ফিরে পাকিস্তান দলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব তাঁরই।
বাংলাদেশ অবশ্য বরাবরই প্রিয় প্রতিপক্ষ হাফিজের। জীবনের দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম টেস্টে করেছিলেন ১৪৩ রান। আর এবার খুলনায় পেয়ে গেলেন দ্বিশতকও। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটা তাঁর ষষ্ঠ টেস্ট। এই ৬ টেস্টের ১০ ইনিংসে ৭১.৩৩ গড়ে ৬৪২ রান করেছেন হাফিজ।